লালমোহন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাপ-পিরিচ প্রতীকের লায়ন হাসনাত হাছনাইনের ওপর হামলা

ভোলার লালমোহন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাপ-পিরিচ প্রতীকের লায়ন হাসনাত হাছনাইনের ওপর হামলা চালিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম হাওলাদার। তার এই মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, প্রার্থী হাসনাতের গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগ নেতা প্রকাশ্যে মোটরসাইকেল থেকে নেমে তাকে মারধর করছেন। স্থানীয়রা ছুটে এসে ফখরুল আলম হাওলাদারের হাত থেকে প্রার্থীকে উদ্ধার করেন।
প্রার্থী হাসনাত হাছনাইন অভিযোগ করে বলেন, বুধবার দুপুর ১২ টায় লালমোহনের কিশোরগঞ্জ দিদার মসজিদের সামনে সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগ করছিলাম। এসময় একটি মোটরসাইকেলে এসে উপজেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি ফখরুল আলম গণসংযোগে বাঁধা দেন এবং গলমন্দ করেন। এসময় স্থানীয় ইউপি মেম্বার মাহাবুব আলমের অফিস থেকে কিছু লোকজন এসে ফখরুলের সঙ্গে যোগ দেন। হাসনাতের ভাই হারুণসহ ৭ জন আহত হন বলেও তিনি দাবি করেছেন। তিনি আরও জানান, প্রাণ রক্ষায় তিনি লোকজন নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ফখরুল আলম হাওলাদারের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুল ইসলাম জানান, তিনি চরফ্যাসনে নির্বাচনী দায়িত্বে রয়েছেন। বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছেন। দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাহাবুব উল আলম জানান, তর্কাতর্কি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ফখরুল আলম তাকে মারধর করার অভিযোগে থানায় মামলা করতে এসেছিলেন, তার মামলা নেয়া হয়নি। হাসনাতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।